সামনে পঞ্চায়েত ভোট। মতুয়া-আদিবাসী সহ বাংলার পিছিয়ে পড়া সমাজের মানুষদের উন্নয়নে তাঁর সরকারের কর্মসূচি-উন্নয়ন প্রকল্পের কথা ফের একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মালদহে তিনি বললেন, মমতা জানান, মতুয়াদের জন্য আমি করেছি। বিজেপি ভোট এলে ক্যা ক্যা করে।
মমতা বলেন, মতুয়ার জন্য আমি সবথেকে বেশি করেছি। কিন্তু ভোট এলে বিজেপি একটু ভাত খেয়ে ক্যা ক্যা করা শুরু করে। বড়মার জন্য আমিই করেছি। কেউ করেনি। হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। কন্যাশ্রী কলেজ করা হয়েছে। মতুয়া বাড়ির গেট করা হয়েছে। কী করা হয়নি। আমি চাই আপনাদের উন্নয়ন হোক। আপানারা যদি নাগরিক না হতেন, ভোট কীভাবে দেন?
বাংলার ক্ষমতা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। তাদের নিশানায় রাজ্যে আদিবাসী-তফসিলি-মতুয়া ভোট। বিজেপি যে রাজ্যের আদিবাসি-মতুয়াদের মধ্যে প্রভাব বাড়াচ্ছে তা গত লোকসভাতেই স্পষ্ট। আধিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়গ্রাম ও মতুয়া প্রভাবিত বনগাঁ লোকসভার দখল নিয়েছেন গেরুয়া প্রার্থীরা। সামনেই বিধানসভা ভোট। পাশা উল্টোতে উদ্যোগী তৃণমূল শিবিরও।
আরও পড়ুন-'টাকা দেয় না, কেন্দ্রীয় টিম পাঠায়, অশ্বডিম্ব,' মালদায় BJP-কে টার্গেট মমতার
আগে মতুয়াদের মন জয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘মতুয়াদের বাড়ি আমিই প্রথম গিয়েছিলাম। সবসময়ই বড় মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম। তার আগে ওদের দিকে কেউ তাকাতোও না। রেল স্টেশন, কলেজ হয়ে গিয়েছে। মতুয়াদের উন্নয়ন বোর্ড তৈরি হচ্ছে। টাকা বরাদ্দ রয়েছে। বোর্ডের সদস্যদের বেছে নিতেই একটু সময় লাগছে। ঠাকুরনগরকে পর্যটনস্থলে রূপান্তরের চেষ্টা করছে সরকার।
মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদকে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি। আদিবাসী ভোট জোড়া-ফুলে ফেরাতে এদিনও মতুয়াদের জন্য রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের উল্লেখ করেন। কেন্দ্রীয় সরকার দেশ জুড়ে কার্যকর করতে পারে নাগরিক সংশোধনী আইন মালদার সভা থেকে তা নিয়েও বলেন তিনি। রাজ্যে সিএএ চালু করা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছে বিজেপি। যদিও রাজ্যে সিএএ কোনও ভাবেই চালু করতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্বাচন আসলে শুধু ক্যাঁ ক্যাঁ করে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটে মতুয়াদের ভোট ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন-আমি খুশি, কয়েকটা ডাকাত, গদ্দার দল থেকে বিদায় নিয়েছিল: মমতা